ডেংগু রোগে আজ ০১ নভেম্বর, শুক্রবার নতুন করে তিনজনের মৃত্যুর পর, ২০২৪ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩০০ তে পৌঁছেছে। এই প্রাণহানি ডেংগু রোগের মারাত্মক প্রভাবের চিত্র তুলে ধরছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ডেংগুর কারণে ১,৭০৫ মৃত্যু ঘটেছে, যা ইতিহাসের সর্বাধিক। ২০২২ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৮১ এবং ২০১৯ সালে ১৭৯। নতুন ৩৮২ ডেংগু রোগী যুক্ত হলে, এ বছরের মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২,১৯৯।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর হার এত বেশি হওয়ার কারণ দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, শক সিন্ড্রোমের উপস্থিতি, এবং ডেংগু মশার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা।
ইপিডেমিওলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরিন বলেন, “এ বছর প্রধানত ডেং-২ (সেরোটাইপ-২) রোগী দেখা যাচ্ছে। তবে, সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।”
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ড. এইচএম নাজমুল আহসান বলেন, “জ্বর কমার পর রোগীরা শকে চলে যাচ্ছে, যা তারা নিজেরাও জানেন না। এ বিষয়টি উদ্বেগজনক।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “জ্বর অনুভূত হলেই আগেভাগে হাসপাতালে চেকাপ স্পেশালিষ্ট এর শরণাপন্ন হতে হবে বিশেষ করে তীব্র পেটের ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
এন্টারমোলজিস্ট মানজুর এ চৌধুরী সতর্ক করেছেন যে, ক্রমাগত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে নভেম্বর মাসে ডেংগুর ঘটনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক নজরদারি এবং মশা দমনের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
আরো পরুন :ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি