বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের দুই মাস পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু এখনও পুলিশ-প্রশাসন সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামীলীগ এবং এর দোসরদের বহাল রাখা এমনকি গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেওয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
একইসঙ্গে তিনি এই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে ‘ব্যর্থতার পরিচায়ক’ বলেও উল্লেখ করেন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যায় জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনে আওয়ামী সরকারের বিভিম্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং কর্মকর্তাদের নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেওয়া সরকারের ব্যর্থতার পরিচায়।
তিনি বলেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এবং পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের নিরাপদে দেশত্যাগ বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপস্থিতির প্রমাণ। তারা বিপ্লবের চেতনা এবং বিপ্লবকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক আরো বলেন, আমরা বর্তমান প্রশাসনের সর্ব স্তরের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাই, আপনারা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেবা প্রদান করুন। ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলবেন না।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিপ্লবী সরকারের প্রতিও আমাদের আহ্বান, বিগত ১৫ বছরে এবং জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে যারা সহযোগী ছিল, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অপরাধীরা পূর্ণমাত্রায় শাস্তি না পেলে আবু সাঈদ, ওয়াসিম এবং মুগ্ধের আত্মা তখনই শান্তি পাবে না।
সূত্রঃ হাসনাত আব্দুল্লাহ র ফেসবুক পেজ