প্রকাশকাল: জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের নজর এখন মধ্যপ্রাচ্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজের সুযোগ খোঁজার আগ্রহ বাংলাদেশে নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব, কুয়েত কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ওমান এখন নতুন করে আলোচনায় এসেছে।বর্তমানে (জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত) ওমানের সকল ধরনের ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। তাই ওমান গমনের ইচ্ছুকদের জানতে চাওয়া ওমানের ভিসা কবে খুলবে ২০২৫।
বিশ্বস্ত কিছু সূত্র অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরিতে ভিসা আংশিকভাবে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, নির্মাণ, কৃষি, এবং পরিষেবা খাতে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য ভিসা খোলার সম্ভাবনা বেশি।
ওমানের ভিসা কবে খুলবে ২০২৫
২০২৪ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (BBS) এক জরিপ অনুযায়ী, ২০১৯–২০২৩ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যমুখী শ্রমিকদের ১৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ওমানে যাওয়ার চেষ্টাকারী বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬৭%, যা আগের পাঁচ বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। বাংলাদেশীরা ওমান পছন্দ করে নির্দিষ্ট কিছু কারণে:
- নির্মাণ, কৃষি ও হসপিটালিটি খাতে বিদেশিদের জন্য নিয়মিত চাহিদা
- চিকিৎসা, নার্সিং ও টেকনিক্যাল শিক্ষা গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের নতুন গন্তব্য
- অনেকেই পরিবার নিয়ে থাকতে চাচ্ছেন; ওমানে স্পাউস ও শিশুদের ভিসার অনুমতি আছে
- ওমানের বিশ্ব স্বাস্থ্য সূচকে স্কোর সৌদি আরবের চেয়েও ভালো (WHO, ২০২৩)
ওমানের ভিসা কেন বন্ধ ছিল?
২০২৩ সালে ওমানের সরকার বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের জন্য ভিসা ইস্যু সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। ভিসা প্রক্রিয়া থেমে যায় হাজার হাজার আবেদনকারীর জন্য। সরকার জানায়, এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল‘অভ্যন্তরীণ শ্রমনীতি পুনর্বিন্যাস এবং কর্মসংস্থানের ন্যায্য বণ্টনের জন্য।
মূল কারণগুলো ছিলঃ
- ওমানে স্থানীয় বেকারত্বের হার বেড়েছে ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৫.৭% (ওমান শ্রম মন্ত্রণালয় তথ্যসূত্র)
- বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য ওমান ২০২২ সাল থেকে “Omanisation policy” জোরদার করে
- কিছু নির্দিষ্ট পেশায় বিদেশিদের নিয়োগ বন্ধ রাখা হয় যেমন—ডেলিভারি ড্রাইভার, দোকান কর্মচারী, নিরাপত্তা রক্ষী
বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা প্রায় ৫০,০০০ শ্রমিক আটকে পড়ে। অনেকেই দালালের কাছে ১–৩ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম দিয়ে বসে আছেন। BOESL এর সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮৫% ওমান গমনের আবেদন স্থগিত হয়।
এ কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়েও এর প্রভাব পড়ে। রেমিট্যান্স হ্রাস পায় প্রায় ৩.১%, বিশেষ করে ওমান উৎস দেশ হিসেবে যেখানে মাসিক ৪০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পাঠানো হতো। ওমানের ১ রিয়াল বাংলাদেশের প্রায় ৩১১ টাকার সমান (মে ২০২৫ অনুযায়ী)।
ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খোলার সম্ভাবনা
২০২৪ সালের মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ–ওমান দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওমান কর্তৃপক্ষ ইঙ্গিত দেয় যে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে ধাপে ধাপে আবারও ভিসা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু পেশার ক্ষেত্রে যেমন
- চিকিৎসা ও নার্সিং: ওমানে নার্স সংকটের কারণে ডিপ্লোমা/বিএসসি পাশ বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা কোটা আলোচনা হয়
- টেকনিক্যাল কাজ:কৃষি, নির্মাণ ও প্লাম্বিং–এ অভিজ্ঞ লোকদের প্রয়োজন
- শিক্ষার্থী ও পর্যটক: উচ্চশিক্ষা ও ট্যুরিজম সেক্টর জোরদার করতে শিক্ষার্থী ও টুরিস্ট ভিসা আংশিক চালুর ইঙ্গিত
ওমানের শিক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে বাংলাদেশের NTVQF সার্টিফাইড প্রতিষ্ঠানগুলোর সমঝোতা হলে শিক্ষার্থী ভিসা দ্রুত চালু হতে পারে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
কোন ভিসা চালু হতে পারে?
সম্ভাব্য ভিসাগুলো হলো:
- ওয়ার্ক পারমিট: যারা ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, নির্মাণ শ্রমিক বা কৃষি শ্রমিক
- ফ্যামিলি ভিসা: যারা বৈধভাবে কর্মরত আছেন ও পরিবার নিয়ে যেতে চান
- স্টুডেন্ট ভিসা: ওমানের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য
- টুরিস্ট ভিসা: ওমান সরকার পর্যটন খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে ভিসা খোলার চিন্তায় রয়েছে
কবে জানবেন অফিসিয়াল ঘোষণা?
ওমান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ (ROP) সাধারণত ভিসা সংক্রান্ত আপডেট তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকে। শীঘ্রই পুনরায় ভিসা চালুর ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 📎 ওমান ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট দেখুন 📎 BOESL অফিসিয়াল পোর্টাল
বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ওমানে যাওয়ার আগ্রহ ও প্রয়োজনীয়তা দুই-ই বাড়ছে। যদিও ওমানের ভিসা এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি, তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অগ্রগতি ও শ্রমবাজারের বাস্তবতা বলছে—২০২৫ সালের শুরুতেই একাধিক ক্যাটাগরিতে ওমানের ভিসা ধাপে ধাপে চালু হতে পারে। তবে এ সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করাই উত্তম। কোনো ভিসা চালু না হওয়া পর্যন্ত টাকা লেনদেন, দালালের ফাঁদে পা দেওয়া, কিংবা ভুয়া এজেন্সির প্রলোভনে পা না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও BMET অফিস।
📚 আরো পড়ুন
ওমান যেতে কত টাকা লাগে
আগে আপনাদের বুঝে নিতে হবে যে আপনি কোন কাজের উপর ওমান যেতে চাচ্ছেন এবং সেই কাজগুলোর উপর ওমানে যাওয়া যায় কিনা বা ভিসা আছে কিনা । ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ফ্যামিলি ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা এর মধ্যে যেকোনো একটি ভিসার মাধ্যমে ওমান যেতে পারেন।তবে উপরে যে ভিসা গুলো দেখতে পাচ্ছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকা লাগে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি ওমান যান তাহলে খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা এর মত।
ওমান ট্যুরিস্ট ভিসার দাম কত
টুরিস্ট ভিসায় যদি ওমান যেতে চান তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা এর মত লাগবে। তবে এই টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকে মাত্র ৩মাস।
ওমান যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ওমান সহ যেকোনো দেশের ভিসার জন্য সঠিক কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা আবশ্যক। সাধারণ একটি ভুল কিংবা অসম্পূর্ণতা ভিসা থেকে বঞ্চিত করতে পারে।
📋 ওমান ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ কাগজপত্র:
ডকুমেন্টের নাম | ব্যাখ্যা |
---|---|
পাসপোর্ট | ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে |
পাসপোর্ট সাইজ ছবি | সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, সর্বশেষ ছবি (২ কপি) |
জাতীয় পরিচয়পত্র / জন্মসনদ | বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিতকরণ |
মেডিকেল রিপোর্ট | GCC অনুমোদিত সেন্টার থেকে মেডিকেল ফিটনেস |
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স | থানার মাধ্যমে অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে |
দক্ষতা/অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট | NTVQF, ডিপ্লোমা, বা চাকরির প্রমাণপত্র |
চুক্তিপত্র / Offer Letter | ওমানের নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে |
সতর্কতা: সব কাগজপত্র ইংরেজিতে অনূদিত ও নোটারাইজড হতে হবে।
ওমান ভিসা আবেদন করবেন কিভাবে
বাংলাদেশ থেকে সরকার অনুমোদিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করাই নিরাপদ। এজেন্ট বা দালালের মাধ্যমে আবেদন করার আগে সতর্ক হতে হবে।
1. BOESL বা BMET রেজিস্ট্রেশন: BOESL
[BMET পোর্টাল লিংক](http://www.old.bmet.gov.bd/BMET/index)
2. নিয়োগপত্র যাচাই ও চুক্তি স্বাক্ষর
3. GCC মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষা
4. eMigrate/ROP ওয়েবসাইটে ভিসা ফর্ম সাবমিশন
5. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহ
6. ভিসা ইস্যু এবং পাসপোর্টে স্ট্যাম্পিং
সব কিছু অনলাইনে করতে চাইলে ROP (Royal Oman Police) সাইট ব্যবহার করুন: [rop.gov.om](https://www.rop.gov.om অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও টাকা লেনদেন করবেন না। প্রতারণা ব্যাপক।
সরকারি তথ্য ও লিংক
সরকারি তথ্য পাওয়ার জন্য নিচের লিংকগুলো নির্ভরযোগ্য:
* BOESL
* BMET অফিসিয়াল সাইট
* ROP Oman Immigration
* Oman Labour Ministry
* Oman Embassy Dhaka
ভিসা টাইপ | উপযুক্ত পেশা | সুবিধা ও বেতন |
---|---|---|
✅ প্রফেশনাল ও দক্ষ পেশাজীবী | • ইঞ্জিনিয়ার • নার্স / চিকিৎসা সহকারী • আইটি বিশেষজ্ঞ • হিসাবরক্ষক / প্রশাসনিক কর্মকর্তা |
• ভালো বেতন ও পরিবার নিয়ে থাকার অনুমতি • ফ্যামিলি ভিসা পাওয়ার সুযোগ • কাজের সঙ্গে পার্টনারশিপ/প্রমোশনের সম্ভাবনা 💰 বেতনের পরিসর: • ইঞ্জিনিয়ার: ৫০০+ OMR • নার্স: ৩০০–৪৫০ OMR (৳৮০,০০০–১,২০,০০০) 🎁 অতিরিক্ত সুবিধা: • বাসস্থান ও খাবার • ওভারটাইম • ঈদ বোনাস • স্ত্রী ও সন্তানের জন্য allowance 🧑🏫 প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ: • ট্রেড ভিত্তিক কোর্স (NTVQF লেভেল ১-৪) • ভাষার দক্ষতা (ইংরেজি / আরবি) • GCC স্ট্যান্ডার্ড মেডিকেল ট্রেনিং 📘 প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান: • টিটিসি (TTC), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর • স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট (SEIP) |
✅ শ্রমজীবী (Driver, Technician) | • গাড়িচালক • কৃষিশ্রমিক • নির্মাণ শ্রমিক • প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান |
• কর্মসংস্থান নিশ্চিত • খরচ তুলনামূলকভাবে কম • বাসস্থান ও খাবারের সুযোগ থাকে 💰 বেতনের পরিসর: • ড্রাইভার: ১৮০–২৫০ OMR • নির্মাণ শ্রমিক: ৯০–১৫০ OMR (৳২৪,০০০–৪০,০০০) 🎁 অতিরিক্ত সুবিধা: • বাসস্থান ও খাবার • ওভারটাইম • ঈদ বোনাস • স্ত্রী ও সন্তানের জন্য allowance 🧑🏫 প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ: • ট্রেড ভিত্তিক কোর্স (NTVQF লেভেল ১-৪) • ভাষার দক্ষতা (ইংরেজি / আরবি) 📘 প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান: • টিটিসি (TTC), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর • স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট (SEIP) |
🎓 ছাত্র ও 🏝️ পর্যটক | • ছাত্র — উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারী
• পর্যটক — ভ্রমণ ও ঘুরতে আগ্রহীরা |
• স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা (ছাত্র) • পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ (সীমিত) • পর্যটক ভিসায় কাজ নিষেধ, মেয়াদ ১০–৯০ দিন 💰 বেতন তথ্য প্রযোজ্য নয় • ছাত্র ভিসায় পার্টটাইম কাজ সীমিত • পর্যটক ভিসায় কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ 📘 প্রশিক্ষণ সুযোগ: • সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে উচ্চশিক্ষা • ইংরেজি দক্ষতা প্রয়োজন |
লেখকের পরামর্শ
বর্তমানে ওমানের কাজের পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেক প্রবাসী এই দেশে এসে বেকার হয়ে পড়েছে। যারা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে চান তাদের উচিত হবে ওমানে কাজের ভিসা নিয়ে না যাওয়া। ওমানে থাকা পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে পারেন। ওমান ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট অথবা মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দূতাবাসের হটলাইন: +968 24698660।
📌 ওমান ভিসা সংক্রান্ত প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
ওমানের ভিসা কি চালু আছে?
জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ওমানের ওয়ার্ক পারমিট, ফ্যামিলি ও ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ রয়েছে। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে কিছু পেশার জন্য চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওমান যেতে বয়স কত লাগে ২০২৫?
সাধারণত ২১ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রযোজ্য। তবে কিছু পেশার ক্ষেত্রে বয়সের শর্ত আলাদা হতে পারে।
ওমানের ৩ মাসের ভিজিট ভিসা কত?
তিন মাস মেয়াদি ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়, যা ট্রাভেল এজেন্সি ও সিজনের উপর নির্ভর করে।
ওমানের ভিসা কিভাবে পাওয়া যায়?
সরকার অনুমোদিত এজেন্সি, যেমন BOESL বা ROP ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। দালালের মাধ্যমে না যাওয়াই ভালো।
৭ দিনের জন্য ওমান যেতে কত টাকা লাগে?
৭ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা ও টিকিট সহ খরচ প্রায় ৫০–৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে থাকা-খাওয়ার খরচ আলাদা।
ওমানের বিজনেস ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
সঠিক কাগজপত্র থাকলে ও স্পন্সরের অনুমোদন পেলে বিজনেস ভিসা পেতে ১৫–৩০ কর্মদিবস সময় লাগতে পারে।
৩ মাসের ভিসা আছে কি?
হ্যাঁ, ওমানে ৩০–৯০ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা ছিল, তবে বর্তমানে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। পুনরায় চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ওমানের ভিসার খরচ কত?
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচ পড়ে ৪–৫ লক্ষ টাকা। ট্যুরিস্ট ভিসায় খরচ পড়ে ৭০ হাজার–১ লক্ষ টাকা। স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ ভিন্ন হতে পারে।
ওমানের খাবারের দাম কত?
ওমানে একবেলার খাবারের দাম গড়ে ১.৫–৩ OMR (৳৪৫০–৯০০)। রেস্টুরেন্টে খেলে একটু বেশি লাগতে পারে।
ওমান যেতে কত সময় লাগে?
ঢাকা থেকে মাস্কাটের ফ্লাইটে প্রায় ৫–৬ ঘণ্টা সময় লাগে। ভিসা ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে আরও সময় লাগতে পারে।