অহিংস গণঅভ্যুত্থানের ১৮ জন সংগঠক কারাগারে
অহিংস গণভ্যুথান নামের পিছনে বিনা সুদে ১ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায় একটি গোষ্ঠী। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা এবং দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ এ গোষ্ঠীর ১৮ জন সংগঠককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত।
ঘটনার পটভূমি
গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে “অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ” ব্যানারে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
- সংগঠনটি গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি ১,০০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
- আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে।
- শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর হারুন অর রশিদ এ ঘটনায় মামলা করেন।
আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ
আদালতে শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
কারাগারে প্রেরিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
- অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান
- সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ
- মেহেদী হাসান
- রাহাত ইমাম নোমান
- মাসুদ, ইব্রাহিম, এবং আরও অনেকে।
তদন্ত এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য
- মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাহফজুর রহমান জানান, আ ব ম মোস্তফা আমীন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে রয়েছেন এবং তাকে সুস্থ হলে আদালতে হাজির করা হবে।
- তদন্তে উঠে এসেছে যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে প্রায় ২০,০০০ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে।
জনমনে প্রতিক্রিয়া
- সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে এই সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
- বেআইনী জনতাবদ্ধ হওয়া এবং প্রতারণার অভিযোগে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
এই ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলার অবনতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতারণার শিকার হওয়ার এক উদাহরণ। মামলার পরবর্তী আপডেটের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
আরো জানুন: যাত্রাবাড়ী হলো রণক্ষেত্র: দায় শুধু মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ এর?