ইসরায়েলের উপর আক্রমন

ইসরায়েলের উপর আক্রমন
ইসরায়েলের উপর আক্রমন

ইসরায়েলের উপর আক্রমন

ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। বুধবার ভোরে ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ করেছে, যদি ইসরায়েল তাদের আর কোনো প্ররোচনা না দেয়। তবে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র একযোগে এ হামলার প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

মঙ্গলবার ইরান ইসরায়েলের দিকে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা সারা ইসরায়েল জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। ওয়াশিংটন থেকে জানানো হয়, তারা তাদের মিত্র দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইরানকে এ ঘটনার জন্য গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি করবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

ইরান বলছে আক্রমণ শেষ, যদি না আরও পাল্টা আক্রমণ না হয়

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের আক্রমণ শেষ হয়েছে, যদি না ইসরায়েলি শাসন আরও প্রতিশোধের পথ বেছে নেয়। এমনটি হলে, আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে আরও শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী।”

ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিশোধ

বুধবার সকালে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তারা জানায়, এসব হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা। শহরের আকাশে বিমান আক্রমনের ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। ইসরায়েল ওই এলাকা থেকে অসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিতে বলেছে।

ইরানের সবচেয়ে বড় আঘাত

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের এই হামলাকে তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক আক্রমণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে উঠে। জেরুজালেম থেকে জর্ডান উপত্যকা পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ আক্রমণের বিষয়ে জানায়, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র iron Dome প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। অপরদিকে ইরানের মিলিটারি ফোর্সের টুইটার (X) থেকে এ বক্তব্যের বিপরীত জানান দেয়া হয়। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,

“ইরান আজ রাতে একটি বড় ভুল করেছে, এবং এর জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করতে এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। ব্রিটেন বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরণ ইরানের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন,
“এটি শীঘ্রই বন্ধ করতে হবে।”
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি

ইরান ইসরায়েলের এই সংঘাত দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এক ভয়াবহ যুদ্ধের প্রারম্ভিকতা হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক লেবানন আক্রমণ এবং গাজায় ক্রমবর্ধমান ইজরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ বাড়ছে।

 

নেতানিয়াহু চরম বিপদে https://shottokontho.com/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%b2-%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%87/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *