ইসরায়েল চরম বিপদে
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল এর বন্ধুত্বের সমাপ্তি
গত কিছুদিন ধরেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ চাপ বেড়ে চলেছে। গত শনিবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ থেকে হামাসের আটককৃত ছয়জন জিম্মির লাশ উদ্ধারের পর যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির জন্য এ চাপ তৈরি হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে নেতানিয়াহু প্রতিশোধের কথা তুলে ধরে হুমকি দিয়ে বলেন,জিম্মি হত্যার ঘটনায় হামাসকে মূল্য চোকাতে হবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কোনো ছাড় প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন। এ পরিস্থিতিতে ছয়জন জিম্মিকে জীবিত ফেরত আনতে না পারায় ইসরায়েল এর ভিতরে শুরু হয়েছে তুমুল বিক্ষোভ। সাধারণ নাগরিকদের কাছে তার ব্যর্থতা তুলে ধরে ‘ক্ষমা’ চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
অপরদিকে ইসরায়েল এর চিরমিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুর ব্যপকভাবে সমালোচনা করেছেন। সোমবার যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, ইসরায়েলে কয়েক ধরনের অস্ত্র রপ্তানি বাতিল করার। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মারাত্মক ঝুঁকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন।
মৃত ছয়জন এর একজন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর দেশজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ করেন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। এ ধর্মঘটে রাজধানী তেল আবিবসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর অচল হয়ে পড়ে। স্বজনদের বিশ্বাস,মোট আটককৃত ৯৭ জন জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাধারণ নাগরিকদের দাবি, ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ বিলম্বিত করছে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মিকে লাশ হয়ে ইসরায়েল এর মাটিতে ফেরত যাবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় (বর্তমানে মৃত ৩৩)।
এছাড়াও গত https://shottokontho.com/০৬-দিনে-নিহত-২৯/