ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারের সিদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার । আজ বুধবার (২৪ অক্টোবর, ২০২৪) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ছাত্রলীগকে “সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯” এর অধীনে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিষিদ্ধ ঘোষণার কারণ
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত কয়েক দশকে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, হত্যা, নির্যাতন, সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি এবং যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এসব কার্যকলাপের মাধ্যমে ছাত্রলীগ দেশের জননিরাপত্তা বিঘ্ন করেছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ করে, গত কয়েক মাস ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সহিংস হামলা চালিয়ে শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে আহত ও হত্যা করেছে। এছাড়াও, সরকারের কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
ছাত্রলীগের অপকর্মের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আওয়াজ তুলছিলেন এবং সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন আন্দোলনকারীরা, বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা। তাদের বেধে দেয়া সময় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকলেও একদিন আগে সরকার এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।