রাশিয়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরব আমেরিকার প্রতি ইংগিত দিয়ে বলেন, ” আমরা পুনরায় মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছি, ছোট শিশুদের মত দেয়াশলাই বক্স দিয়ে খেলা করা, প্রাপ্তবয়স্ক বাবা-চাচাদের জন্য অনুচিত এবং বিপজ্জনক. ”
গতকাল মস্কোর সংবাদ সম্মেলনে লাভরব আরো বলেন, শুধুমাত্র ইউরোপের ক্ষতির উদ্দেশ্য হিসেবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে দেখে আমেরিকানরা। তারা মনে করে, ঈশ্বর না চান, এটি ঘটলে শুধুমাত্র ইউরোপের ক্ষতি হবে। পশ্চিমারা এখন আগুন নিয়ে খেলছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তা শুধু ইউরোপে সীমাবদ্ধ থাকবে না বলেও সতর্ক করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২২ পরবর্তী সময়কাল থেকেই ইউক্রেনের উপর রাশিয়া আক্রমণ শুরু করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই পারমানবিক অস্ত্রধর রাষ্ট্রদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে বিপক্ষে কথা বলেছেন। তিনি আরো নিশ্চিত করেন, রাশিয়া আমেরিকা নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সাথে সংঘর্ষে যাবে না।
গত ০৬ আগস্ট ২০২৪ সালে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্কো অঞ্চল আক্রমন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীতে এই প্রথম এত বড় ধরনের হামলা ঘটে রাশিয়ার সাথে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি জানান, ক্রেমলিন দের প্রতিশোধের কথা ফাকা বুলি ছাড়া আর কিছুই না। মিত্রপক্ষের নীতিমালার কারণে রাশিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘাটিতে আক্রমণ চালাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কিয়েভকে কিভাবে সাহায্য করা যায় তা নিয়ে মিত্রদের আরো সুচিন্তিত মতামত আশা করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া র সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায়, কুরস্কো আক্রমনে ইউক্রেন বাহিনী, ব্রিটিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। অপরপ্রান্তে ওয়াশিংটন বলছে এ আক্রমণের কোন ধরনের আগাম বার্তা তাদের কথা ছিলো না। ওয়াশিংটন এর উক্তিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়েন প্রেসিডেন্ট কখন পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার এর কথা চিন্তা করবেন তা বলা আছে ২০২০ সালের নীতিমালায়। যখন রাশিয়া গনবিদ্ধংসী হামলার সম্মুখীন হবে এবং দেশটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পরবে।