প্যারা অলিম্পিকস এর আদ্যোপান্ত : ইতিহাস ও বর্তমান
অলিম্পিক গেমস এর মতই শারীরিক প্রতিবন্দীদের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চের নাম প্যারা অলিম্পিকস। তাদের শারীরিক বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও এ প্রতিযোগিতায় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এ গেমসের সূচনা দ্বতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীতে। যুদ্ধে আহত হওয়া সৈনিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ হিসেবে সূচনা হলেও পরবর্তীতে তা আন্তজার্তিক মর্যাদা সম্পন্ন হয়। এখন এ প্রতিযোগিতা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
প্যারালিম্পিক গেমসের ইতিহাস
১৯৪৮ সালের ম্যান্ডেভিল হাসপাতালের এক পড়ন্ত দুপুর হতে প্যারালিম্পিক গেমসের ইতিহাস শুরু হয়। এতে অংশ নেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আহত সৈনিকেরা। পরবর্তীতে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পরলে ১৯৬০ সালে ইতালির রোম শহরে ২৩ টি দেশের ৪০০ জন ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মত আন্তজার্তিক ভাবে আয়োজন করা হয়, যা এখনো চালু আছে। প্রতিবার অলিম্পিক গেমসের পর এটি আয়োজন করা হয়ে থাকে। এতে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য।
প্যারালিম্পিকের গুরুত্ব
এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তি এ শিক্ষাই দিয়ে যায়, তারা শারীরিকভাবে সীমাবদ্ধ হলেও সাধারণ মানুষের চেয়ে তারা কোনদিক দিয়েই পিছিয়ে নয়। এর মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিভা ফুটে উঠে পুরো বিশ্বের কাছে। সকল জাতি বর্ন৷ নির্বিশেষে তারা মানুষের হাল না ছেড়ে দেয়ার উদাহরণ।
প্যারালিম্পিক গেমস ২০২৪
পূর্বের বারের চেয়ে এবারো নতুন কিছু চমক নিয়ে এসেছে প্যারালিম্পিক গেমস। নতুন করে যুক্ত হয়েছে হুইলচেয়ার বাস্কেটবল, প্যারাসুইমিং, এবং প্যারাথলন। ক্রীড়াবিদদের প্রতিযোগিতার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ার পাশাপাশি , নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করা হচ্ছে প্রতি গেমসেই।
সমাপনী
প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে তারা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। তাদের সাফল্য প্রমাণ করে যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনই জীবনের লক্ষ্য অর্জনের পথে বাধা হতে পারে না । এটি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এক অসাধারণ শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্যারালিম্পিক আমাদের শিক্ষা দেয় শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মানুষ তার মনোবল এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে পারে