বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে যুক্তরাষ্ট্র
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ।
সাক্ষাৎকালে হেলেন লাফেভ বলেন,
“বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত।”
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার প্রশংসা ও করেন। রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ করে দেয়ার আহবান জানান। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির আশা ব্যক্ত করেন হেলেন লাফেভ। যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ইতিমধ্যে শুরু করেছে এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে।
বাংলাদেশের পাশে দাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লাখের বেশি উদবাস্তুদের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি এ আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারনে মাঝে মাঝেই বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্বীকার হয়। এ সকল বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বের দাতাগোষ্ঠীকে একটি ‘কমন প্ল্যাটফর্ম’ তৈরী এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
মার্কিন কূটনীতিক বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করবে। বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের বিষয় নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন
“বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত এবং অন্তর্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এ ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন এই কূটনীতিককে অবগত করেন, ‘একটি যৌক্তিক সময় পর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’