বাফুফের নতুন সভাপতি
২৬ অক্টোবর, শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফের (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) বার্ষিক সাধারণ সভার পর ভোটের লড়াইয়ে বিশাল জয় পেলেন তাবিথ আউয়াল। দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরিকে ১২৩-৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বাফুফের সভাপতির পদে নির্বাচিত হন একাধারে সফল ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং ক্রীড়া সংগঠক তাবিথ আউয়াল।
তাবিথের ইতিহাস গড়া মুহূর্ত
শনিবার দুপুর ২টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হয়। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। সভাপতি নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৩ জন, তবে ভোট প্রদান করেন ১২৮ জন। তাবিথ আউয়াল এই লড়াইয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন, যা ফুটবল ভক্তদের জন্য একটি নতুন আশার বাণী হয়ে কাজ করছে।
তাবিথের ক্রীড়াঙ্গনে দীর্ঘ পথচলা
তাবিথ আউয়াল বাফুফের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। এর আগে তিনি সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ২০১২ এবং ২০১৬ সালে । ২০২০ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে লড়াই করে ৬৫-৬৫ ভোটে ড্র করেন, কিন্তু পুনরায় ভোটে ৬৭-৬৩ ভোটে পরাজিত হন। তবে এবার, চার বছর পর, সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হয়ে ফুটবল ফেডারেশনের নতুন নেতৃত্বে আসীন হলেন তিনি।
সালাউদ্দিনের অবসর ও নতুন নেতৃত্বের উত্থান
বাফুফের দীর্ঘদিনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গত মাসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তাবিথ আউয়ালের জয় অনেকটা নিশ্চিত ছিল। ১৬ বছর পর বাফুফের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, যা দেশের ফুটবলের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
বাফুফের অন্যান্য নির্বাচন
এদিন আরও ১৯টি পদে ভোট হয়। বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতির চারটি পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যেখানে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ১১৫ ভোট পেয়ে প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। অন্যান্য সহ-সভাপতিরা হলেন ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি, সাব্বির আহমেদ আরেফ এবং ফাহাদ মোহাম্মদ আহমেদ করিম।
নতুন নেতৃত্বে ফুটবলের ভবিষ্যৎ
তাবিথ আউয়ালের জয় বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। তার অভিজ্ঞতা, নেতৃত্ব এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেশের ফুটবলের উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।