শেখ হাসিনা
৫ আগস্ট ছাত্রজনতার চাপে হেলিকপ্টারযোগে গনভবন ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তার অবস্থান নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়তো ভারত সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সেফ হাউসে রয়েছেন। এ বিষয়ে মোদি সরকার সম্পুর্ণ নীরবতা বজায় রেখেছে, তবে অনেকের দাবি, তিনি দিল্লিতে তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে থাকতে পারেন।
দিল্লিতে হাসিনার থাকার গুজব: সত্য নাকি মিথ্যা?
ভারতের কিছু মহল থেকে দাবি উঠেছে, শেখ হাসিনাকে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ এর সাথে অবস্থান করার কথা। ভারত সরকারের দেওয়া সেফ হাউসে রাখার কথাও উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এর মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাঁকে দিল্লির লোধি গার্ডেনে হাঁটতে দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আঞ্চলিক পদে যোগদান করেছেন সায়মা ওয়াজেদ।
শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল মোদি সরকার, যারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতীয় ও বিদেশি গণমাধ্যমও এ বিষয়ে অনেকটাই নীরব, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা হাসিনার সাক্ষাৎকার পাওয়ার আশা করছেন না।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ: ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা
০৮ আগস্ট থেকে মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে হাসিনার পতনের পর। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলন এ শত শত মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, যা শেখ হাসিনার সরকারই করেছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত সরকারের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইনমন্ত্রী আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, “আমরা আশা করি ভারত তাঁকে বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা বাড়াতে দেবেন না, যা তিনি মিথ্যা ও গুজব ছড়িয়ে করছেন।”
আঞ্চলিক নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস ভারতের
ভারত বরাবরই আঞ্চলিক নেতাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।
ক. ১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে পালিয়ে দালাই লামা ভারতে আশ্রয় নেন
খ. ১৯৯২ সালে আফগান নেতা মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর পরিবার ভারতে আশ্রয় নেয়।
গ. শেখ হাসিনা নিজেও ১৯৭৫ সালে তাঁর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে কয়েক বছর আশ্রয়ে ছিলেন।
ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব শিবশঙ্কর মেনন বলেন, সোর্স: ফাইনান্সিয়াল টাইম
“আমরা সবসময় তাঁদের থাকতে দিয়েছি, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
সোর্স: ফাইনান্সিয়াল টাইমস