সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা
বয়সসীমা নিয়ে ৩ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন বের করার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। প্রজ্ঞাপন বের না হলে ফের আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
১৩ অক্টোবর, রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অবস্থানের কথা তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন হচ্ছিল। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি আশার মুখ দেখেনি। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরালো হয়। এ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি পর্যালোচনা করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে উক্ত কমিটি।
কমিটি গঠনের উদ্দ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়ে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসাইন সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
এ সরকার আমাদের আবেগকে মূল্যায়ন করেছে। তারা একটি কমিশন গঠন করেছে। যেহেতু এই কমিশন আমাদের যুক্তি শুনে, কথা বলে, গবেষণা করে পুরুষের জন্য ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে- আমরা চাই সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত প্রজ্ঞাপন দেয়া হোক। এ সময় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করার পক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৫৯ বছর বা অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করা যায়; তাহলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিৎ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা উন্মুক্ত করা। আন্দোলনকারীদের তরফে ইউসুফ জামিল, সোনিয়া চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, লাবনী আনোয়ার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পরুনঃ সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ এর জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি
ছবি এবং বর্ণনাঃ জনকণ্ঠ