বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদরের জয়পুরপাড়া এলাকার গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) কে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব জানায় যে, হাতখরচের টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর সাদ মায়ের কাছে টাকা দাবি করে এবং একপর্যায়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে রাগের মাথায় মাকে হত্যা করে। হত্যার পর, সাদ তার মায়ের লাশ রেফ্রিজারেটরে লুকিয়ে রাখেন এবং এটি ডাকাতির ঘটনা হিসেবে চালানোর জন্য আলমারিতে কুড়াল দিয়ে কোপ দেন।
সাদ ঘটনার পর, বাবাকে ফোন করে জানায় যে, মা বাসায় নেই এবং খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। প্রতিবেশীরা এসে খোঁজাখুঁজি করলেও সাদ ঘটনার তৎকালীন নাটকীয়তায় অংশ নেয়। শেষ পর্যন্ত সাদ নিজেই রেফ্রিজারেটরের ঢাকনা খুলে মায়ের লাশ বের করেন এবং এটি ডাকাতির চেষ্টা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন। র্যাব জানিয়েছে, সাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানিয়েছেন যে, সাদ পরিকল্পিতভাবে মায়ের নাক ও মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। এরপর, সাদ মায়ের হাত বেঁধে তার লাশ রেফ্রিজারেটরে লুকিয়ে রাখেন এবং বাড়ির আলমারি ভাঙচুর করার মাধ্যমে ডাকাতি ঘটানোর চেষ্টা করেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উম্মে সালমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বড় ছেলে বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাঁর ছোট ছেলে সাদকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
আরো জানুন: শিশু মুনতাহার লাশ পাওয়া গেল পুকুরে