হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত
গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানায়, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে আজ অবধি তাদের হাতে আটক থাকা আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। ইসরায়েলি হামলায় হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিতকরণ এবং পাশাপাশি সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে গত বছরের ৭ অক্টোবর। হামলার মূল হোতা ধরা হয় ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে। ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক তাঁকে হত্যার পর চলমান যুদ্ধে মোড় বদলের আশা জেগেছিল। বিশেষত জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের স্বজনদের ফিরে পাওয়া এবং গাজাবাসীর আরও মানবিক সহায়তা পাওয়ার আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কাতারভিত্তিক হামাসের কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন,
‘গাজায় আমাদের মানুষদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। এটাই হামাসের সর্বশেষ অবস্থান।’
ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গত বৃহস্পতিবার সিনওয়ারের নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে হামাসের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়।
সিনওয়ারকের মৃত্যুর প্রভাব
সিনওয়ারকে হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন,
সিনওয়ারের মৃত্যু হামাসের অশুভ শাসনের পতনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যুগান্তকারী ঘটনা। যদিও এটি গাজা যুদ্ধের শেষ নয়, এটি শেষের শুরু।
এদিকে হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার গায়েবানা নামাজ আদায় করা হয়েছে বাংলাদেশে সহ আরো অনেক জায়গায়।