পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আবারো উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তার স্ত্রী বুশরা বিবি এক ভিডিও বার্তায় ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এই তথ্য প্রকাশিত হয়। ভিডিও বার্তায় বুশরা বিবি দাবি করেন, ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সৌদি কর্মকর্তাদের চাপের মুখে পড়েছিলেন।
ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতি ও বুশরার অভিযোগ
২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ হারান ইমরান খান। বুশরার মতে, এই ঘটনার নেপথ্যে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “যখন ইমরান খান খালি পায়ে মদিনা ভ্রমণ করেন, তখন সৌদি কর্তৃপক্ষ এই কাজের কড়া সমালোচনা করে এবং সেনাপ্রধান বাজওয়াকে ফোনে প্রশ্ন করে, ‘আপনি কাকে আমাদের সামনে এনেছেন? আমরা এই ধরনের নেতা চাই না।'”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এরপর থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ইহুদির এজেন্ট বলে অপপ্রচার শুরু হয়। এটি ছিল তার জনপ্রিয়তাকে ধ্বংস করার পরিকল্পনার একটি অংশ।”
ইমরান খানের জামিন: তিনি কি মুক্তি পেয়েছেন?
ইমরান খান বর্তমানে বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত। কিছু মামলায় তিনি জামিন পেলেও কয়েকটি মামলার কার্যক্রম এখনও চলছে। তার সমর্থকদের প্রধান প্রশ্ন হলো—ইমরান খান কি মুক্তি পেয়েছেন? আপাতত তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার রাজনৈতিক আন্দোলন থেমে নেই।
ইমরান খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইমরান খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভিন্নমাত্রা এনে দিয়েছে। ১৯৫২ সালের ৫ অক্টোবর লাহোরে জন্মগ্রহণ করা ইমরান খান লাহোরের এটচিসন কলেজে তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের ওক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ডিগ্রি অর্জন করেন।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সাফল্যের পর, ১৯৯৬ সালে পিটিআই প্রতিষ্ঠা করে ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার নেতৃত্বে পিটিআই প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসে।
ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা: আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন
ইমরান খান ও তার দল পিটিআই বর্তমানে একাধিক আন্দোলনে সক্রিয়। বুশরা বিবি তার ভিডিও বার্তায় আগামী ২৪ নভেম্বরের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো শর্তেই আন্দোলনের এই তারিখ পরিবর্তন হবে না।
ভিডিও বার্তায় বুশরা বলেছেন, আমাদের বিক্ষোভ আইন ও সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। আইন অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না।
আরো জানুন : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা Ayatollah Ali Khamenei কোমায়