১৯৮০ এর পর এই প্রথম South Korea Martial Law ঘোষণা
দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) মঙ্গলবার গভীর রাতে এক আকস্মিক ঘোষণায় Martial Law কার্যকর করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল দাবি করেছেন, এটি দেশের গণতন্ত্র রক্ষা এবং রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য নেওয়া হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর এই প্রথম South Korea Martial Law ঘোষণা করা হলো, যা দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
Martial Law কেন ঘোষণা করা হলো?
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল বলেছেন যে, দেশজুড়ে pro-North Korean anti-state forces সক্রিয় রয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিরোধী দলগুলো সংসদীয় প্রক্রিয়াকে জিম্মি করে রেখেছে এবং সরকারের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে।
Martial Law ঘোষণার পরপরই কী ঘটেছে?
- রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ: সংসদসহ সব রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
- মিডিয়ার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ: সমস্ত মিডিয়া এবং প্রকাশনা এখন Martial Law -এর অধীন।
- অর্থনৈতিক প্রভাব: ঘোষণার পরপরই South Korea এর মূদ্রা “ওয়ান” (WON) ডলারের বিপরীতে বড় ধসের মুখে পড়েছে।
- সামরিক প্রভাব: দেশব্যাপী সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
-
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্টের সামরিক আইনের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে
Martial Law-এর অধীনে কী কী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে?
সরকারি ডিক্রি অনুযায়ী, Martial Law-এর আওতায় বেশ কিছু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে:
- সব ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ।
- মিডিয়া এবং প্রকাশনা সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
- শ্রমিক ধর্মঘট, বিক্ষোভ, এবং কাজ বন্ধ নিষিদ্ধ।
- চিকিৎসক ও মেডিক্যাল স্টাফদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কাজে ফিরতে বাধ্য করা হয়েছে।
উক্ত নিয়ম অমান্যকারীদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
South Korea-র জনগণ ও বিরোধী দল কী বলছে?
বিরোধী দল Democratic Party এবং তাদের নেতা লি জে-মিউং এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন,
“ট্যাংক আর বন্দুকের ছায়ায় দেশ পরিচালিত হলে, অর্থনীতি ও গণতন্ত্র ধ্বংস হবে।”
অন্যদিকে, সাধারণ জনগণের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য জরুরি মনে করছেন, আবার কেউ একে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত বলে মনে করছেন।
Martial Law কীভাবে South Korea-এর অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে?
এই ঘোষণার ফলে South Korea এর মূদ্রা “ওয়ান” (WON) ডলারের বিপরীতে ব্যাপকভাবে পতন ঘটেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
South Korea Martial Law নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া কী?
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮,৫০০ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।
- গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা: আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এই পদক্ষেপকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন।
Martial Law নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভবিষ্যৎ কী?
দক্ষিণ কোরিয়া বিগত কয়েক দশকে একটি উদাহরণস্বরূপ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু Martial Law-এর এই সিদ্ধান্ত দেশটির ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক সংকট কীভাবে দেশটির অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোকে প্রভাবিত করবে, তা সময়ই বলে দেবে।
আরো জানুন: ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা? বর্তমান অবস্থা