জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক কেন সারজিস কে দেয়া হলো?

জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক সারজিস
সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর সারজিস আলমকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য করা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন পদটির মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মূল লক্ষ্য কি?

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, ছাত্র-জনতার ঐক্যের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় নাগরিক কমিটির যাত্রা শুরু হয়। তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে রেখে কমিটি দেশের প্রতিটি থানা এবং উপজেলায় কাজ শুরু করেছে।

এ পর্যন্ত দেশের ৪৪টি থানা ও উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলো ৬০ দিনের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটিতে রূপান্তরিত হবে। চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি থানায় কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

সারজিস আলম কে কেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক দেয়া হলো?

জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, সারজিস আলমের অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব কমিটির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। তিনি বর্তমানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও কাজ করছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্য

প্রাথমিকভাবে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্যসচিব এবং সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র করে ৫৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নতুন করে মুখ্য সংগঠকের পদ সৃষ্টি করে নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি তারুণ্যনির্ভর রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে, যা দেশকে বৈষম্যমুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং ন্যায়সঙ্গত পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

যুব সমাজের উদ্বেগ: নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কেন জরুরি?

ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার প্রভাব শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও পড়েছে। এতে দেশের তরুণ প্রজন্ম উদ্বিগ্ন। তারা বিশ্বাস করে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় পরিবর্তন না এলে প্রকৃত গণতন্ত্র এবং সুশাসন কখনোই সম্ভব নয়। জাতির এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটাবে।

উপসংহার:

জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলছে। সারজিস আলমের মতো তরুণ নেতার নেতৃত্বে কমিটির কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

One thought on “জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক কেন সারজিস কে দেয়া হলো?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *