সংক্ষেপে মূল পয়েন্ট
- ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি: সামান্তা শারমিন নিশ্চিত করেছেন যে, ‘জনশক্তি’ নামে রাজনৈতিক দলের খবর ভিত্তিহীন।
- মূল আন্দোলনের লক্ষ্য: বৈষম্য দূর করে ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠা।
- বিভ্রান্তি প্রতিরোধ: গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্য জানার আহ্বান।
- গুজবের উৎস: জাতীয় নাগরিক কমিটির দাবী কিছু অসাধু মহল সংগঠনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন আজ শনিবার এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন যে জনশক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে কোনো নতুন রাজনৈতিক দলের নামকরণ বা আলোচনা হয়নি। সাম্প্রতিক কিছু সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রেক্ষিতে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন।
‘জনশক্তি’ নামে রাজনৈতিক দল: গুজব
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়ায় যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ‘জনশক্তি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে সামান্তা শারমিন এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন,
“এ ধরনের কোনো নাম কিংবা রাজনৈতিক দলের গঠন নিয়ে আলোচনা আমাদের মধ্যে হয়নি। জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
‘জনশক্তি’ কী?
‘জনশক্তি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের গুজব শোনা গেলেও এটির প্রকৃত কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেকেই ভেবেছিলেন যে, এই দলটি সমাজে বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে কাজ করবে এবং যুব নেতৃত্বকে এগিয়ে আনবে। তবে সামান্তার বক্তব্য অনুযায়ী, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং তাদের মূল আন্দোলনের উদ্দেশ্য থেকে সরে যায়।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মূল লক্ষ্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল লক্ষ্য সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা। কিছুদিন পূর্বে সমন্বয়ক সারজিস ও ড. তাসনিম জারা এ দলে যোগদান করেন।
বিভ্রান্তি এবং সতর্কবার্তা
সামান্তা শারমিন বলেন,
“গুজবের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলনকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য বিশ্বাস করবেন না।”
শেষ কথা
জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে সংগঠনটি আরও সচেতনতা প্রচার চালাবে।