পর্যটন খাতে বিপর্যয়
খাগরাছড়ি ও রাংগামাটি এলাকায় এখন পর্যটক শূণ্য | আশে পাশের হোটেল ও দোকানপাটে নেই ভীর | স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা চান্দের গাড়ি জানান দেয় এই এলাকার অর্থনীতিক অবস্থার |
পর্যটন শিল্প অভিজ্ঞদের মতে পর্যটকের অভাবে প্রতিদিন গুনতে হচ্ছে প্রায় 80 লক্ষ টাজার লোকশান | এ ক্ষতি গত দুই সপ্তাহে 10 কোটি টাকা ছাড়িয়েছে | এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতাকে | পর্যটকদের আগমন গত তিন মাস ধরেই কম ছিলো | মৌসুমী আবহাওয়া ও এর একটি কারণ | 2023 এর শেষ থেকেই নির্বাচন উপলক্ষে পর্যটক কমে যায় | বন্যার আঘাতে আনাগোনা আরো কমে যায় | পরবর্তীতে কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের সময় সহিংসতা জনপ্রিয় পর্যটন স্থান গুলোতে প্রভাব ফেলে |
এ সংকটের মধ্যে গতকাল রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সজেক উপত্যকায় পর্যটকদের যাওয়া নিরুৎসাহিত করা হয় | এ ঘোষণা আরো বড় ধাক্কা হয়ে উঠে | সাধারণত তিন থেকে পাচ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া পর্যটনের মৌসুমে | তবে, বর্তমানে পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির (CROA) সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানিয়েছেন বর্তমানে ব্যবসা হুমকির মুখে পড়েছে |
তিনি জানান, “সেপ্টেম্বর ১৯ তারিখ থেকে পর্যাপ্ত অতিথি পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবহন, রেস্তোরাঁ, স্থানীয় ফল বিক্রি, এমনকি স্থানীয় হস্তশিল্পও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
বাংলাদেশের পর্যটন খাত প্রতি বছর প্রায় ৭৬,৯৯০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। প্রায় ৩০টি পর্যটন কেন্দ্রে বছরে প্রায় ২.৫ কোটি দেশী ও বিদেশী পর্যটক ভ্রমণ করেন। এদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ পর্যটক পাহাড়ি জেলায় ভ্রমণ করেন। কক্সবাজারসহ এই তিনটি জেলায় প্রায় ৫৫ শতাংশ দেশীয় পর্যটক ভ্রমণ করে।
রাঙ্গামাটি শহরের হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মঈন উদ্দিন বলেন, “সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের উপস্থিতি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।”
ট্যাগ
খাগড়াছড়ি পর্যটন, রাঙ্গামাটি পর্যটন, পাহাড়ি পর্যটন, সাজেক ভ্যালি পর্যটন, বান্দরবান পর্যটন, পর্যটন ব্যবসা বিপর্যয়, হোটেল খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি হোটেল, সহিংসতা ও পর্যটন