সমন্বয়দের অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। সম্প্রতি তাদের ফেসবুকে দেয়া পোস্টের ভিত্তিতে তাদের রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বলেন, রংপুরের মাটিতে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনো প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবে না।
গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
‘জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ফেসবুকে সারজিস ও হাসনাতের করা পোস্টের ওপর ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সারজিস ও হাসনাত এর ফেসবুক মন্তব্যঃ
গত ৭ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাত এর ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্ট এর মাধ্যমে এ ঘটনার শুরু । পোস্টে সারজিস আলম লিখেছিলেন,
‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?’
অপরদিকে হাসনাত লিখেছিলেন,
‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ করছেন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সংলাপে না ডাকতে ফেসবুকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা রংপুরে আসতে পারবে না। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই রংপুরের পার্টি অফিসে বসে থাকবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। যদি এই আন্দোলনকে আমরা জনস্রোত করতে না পারি তাহলে জাতীয় পার্টি থেকে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।’
তিনি আরো বলেন,
রংপুরে কোনো রাজনৈতিক সংলাপে যদি জাতীয় পার্টিকে ডাকা না হয়, সম্মান দেওয়া না হয়- তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই অধিকার আদায় করে নেবে।
এর জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।’
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে অবিলম্বে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমা চাওয়াসহ বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। নয়তো ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।