অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল কার্যক্রম আইনি হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বৈধতা সম্পর্কে আদালত কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হলে পরদিন রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করেন। এরপরে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। ড. ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা শপথ নেন এবং সরকার পরিচালনার দায়িত্বে অবতীর্ণ হন। এই সরকারে ড. ইউনূস ছাড়াও বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য বিশেষ কিছু ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, যা সাংবিধানিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। এটি নির্বাচন কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে এবং প্রশাসনিক কাজগুলো সুসংগঠিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন দেবে। এতে করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিসরে প্রবেশ করতে পারবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন ও ক্ষমতা নিয়ে চূড়ান্ত খসড়া অধ্যাদেশটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে, খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, এই সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না এবং এর বৈধতা সম্পর্কে কোনো মামলা দায়ের করা যাবে না। খসড়ায় বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সব সিদ্ধান্ত এবং কার্যক্রম আইনি বলে গণ্য হবে এবং এগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সুপ্রিম কোর্টসহ অন্য কোনো আদালতে অভিযোগ আনা যাবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি উপযুক্ত এবং গ্রহণযোগ্য কাউকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন, যিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, যাদের সংখ্যা প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারণ করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে কাজ করতে আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার জন্য সম্মতি জানাতে হবে।