তোমরা সত্যকে মিথ্যের সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না। @@ surah baqara ayat 42 Al Quran 2:42 @@

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন মাত্র ১ মিনিটে

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন মাত্র ১ মিনিটে
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন মাত্র ১ মিনিটে

বাংলাদেশের একজন স্থায়ী বাসিন্দা ও নাগরিকত্বের প্রমাণ হচ্ছে NID বা জাতীয় পরিচয়পত্র। অনেকেই এর জন্য আবেদন করে ছবি এবং আঙুলের ছাপ দিয়ে আসার পরো স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি। কিন্তু এখন থেকে বায়োমেট্রিক চিপযুক্ত এই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে সহজেই।

স্মার্ট এনআইডি কার্ডে বায়োমেট্রিক চিপ থাকায় ব্যক্তির নাম, ছবি, জন্মতারিখ, ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষিত থাকে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর NID উইং থেকে ইস্যু করা এই কার্ড এর মেয়াদ সাধারণত ইস্যুর ১৫ বছর পর্যন্ত  হয়ে থাকে। । ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর চালু হওয়া স্মার্ট এনআইডির ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট কার্ড আছে, যা সহজেই রিডার মেশিনে চিপের তথ্য দেখাতে পারে

NID কার্ডের প্রধান সুবিধা  

  1. পরিচয় নিশ্চিতকরণ : ব্যাংক হিসাব খোলা, মোবাইল সিম নিবন্ধন, পাসপোর্ট–ভিসাসহ সরকারি ও বেসরকারি সব ক্ষেত্রে পরিচয় প্রমাণের কাজ করে এনআইডি।
  2. ভোটার তালিকা যাচাই : নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নিজের ভোটার তথ্য অনলাইনে দেখার সুযোগ থাকে
  3. জালিয়াতি রোধ : বায়োমেট্রিক ডাটা থাকার কারণে এই কার্ড ক্লোন বা জাল করা কঠিন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবো কিভাবে?

আগের মতো কষ্ট করে অফিসে যেতে হবে না; ঘরে বসে  PDF ফরম্যাট –এর NID কার্ডের অনলাইন কপি নিতে পারবেন । প্রিন্ট করে নিজ হাতে লেমিনেট করলে আসল স্মার্ট কার্ডের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়

NID Download করতে কি কি লাগে?

–  আপনার  জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর  (বা ভোটার স্লিপ নম্বর)

–  জন্ম তারিখ : ভোটারের আবেদনে দেওয়া যে তথ্য দেয়া হয়েছিলো সেই তথ্য।

–  মোবাইল নম্বর : OTP পাবার জন্য অবশ্যই সচল মোবাইল নম্বর লাগবে

–  ঠিকানা তথ্য : বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা–র জেলা, উপজেলা ঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে .

এই তথ্যগুলো সঠিকভাবে জানা খুবই জরুরি, কারণ ভুল তথ্য দিলে অনলাইনে কার্ড ডাউনলোড ব্লক হয়ে যেতে পারে

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার সহজ ধাপ

১. অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান প্রথমে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে এই ওয়েবসাইটে যান: 🔗 https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/

২. অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন শুরু করুন “নতুন রেজিস্ট্রেশন করুন” বা “Register” বাটনে ক্লিক করুন।  এখন একটি ফর্ম আসবে যেখানে নিচের তথ্য দিতে হবে:  ফরম নম্বর (যদি থাকে, তাহলে লিখবেন NIDFN12345678 এইভাবে)।  অথবা SMS-এ পাওয়া NID নম্বর  জন্ম তারিখ  নিচে দেওয়া ভেরিফিকেশন কোড  সব কিছু ঠিকভাবে দিয়ে “Submit” বাটনে ক্লিক করুন।

৩. ঠিকানা দিন এখন আপনাকে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে বলা হবে।  ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে বিভাগ > জেলা > উপজেলা/থানা অনুযায়ী।

৪. মোবাইল নম্বর যাচাই (OTP) আপনি যেই মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময়, সেই নম্বরে একটি OTP কোড যাবে।  মোবাইলে আসা ৬ সংখ্যার OTP কোডটি লিখে যাচাই করুন (Verify)।

  • মোবাইল নম্বর যদি না থাকে বা পরিবর্তন করতে চান, তাহলে “মোবাইল নম্বর পরিবর্তন” অপশনটি ব্যবহার করুন।

৫. ফেস ভেরিফিকেশন এই ধাপে আপনার মুখের ছবি দিতে হবে।  এজন্য আপনার মোবাইলে NID Wallet App ডাউনলোড করে নিতে হবে (Play Store-এ পাবেন)।  অ্যাপে ঢুকে QR কোড স্ক্যান করে আপনার মুখের ছবি তুলুন।

৬. ফেস ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে সিস্টেম নিজেই আপনাকে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে।

৭. NID কার্ড ডাউনলোড এখন আপনি NID ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর নিচের দিকে স্ক্রল করলে “ডাউনলোড” বাটন পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি PDF ফরম্যাটে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • শুধু সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন। অন্য কোথাও আপনার তথ্য দেবেন না।
  • ফরম নম্বর ছাড়া NID নম্বর দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যায়।
  • মোবাইলে আলো ভালো থাকলে ফেস ভেরিফিকেশন সহজ হয়।
  • কোনো সমস্যা হলে হেল্পলাইন ১০৫ নম্বরে কল দিন।

স্মার্ট এন আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা যায় না।

নতুন ভোটার এর আবেদন করবো কিভাবে?

নতুন ভোটার হতে হলে যেসব কাগজপত্র দরকার হবে:

১. অনলাইন জন্ম সনদ (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন)

২. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)

৩. পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

৪. স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা বিবাহিতদের জন্ম সনদ

৫. নাগরিকত্ব সনদ

৬. বিদ্যুৎ বিল

৭. ট্যাক্স সার্টিফিকেট (চৌকিদারি ট্যাক্স)

৮. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র (যদি পূর্বে কখনও ভোটার না হয়ে থাকেন)

৯. রক্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত সনদ (সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত)

আরো জানুনঃ সঠিক CV লেখার নিয়ম: একাধিক চাকরির জন্য ব্যবহার করুন

নতুন NID (ভোটার আইডি) কার্ডের আবেদন করবো কিভাবে?

১. নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন অফিস বা অনলাইন নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যান। 🔗 ওয়েবসাইট: https://services.nidw.gov.bd

২. ওয়েবসাইটে গিয়ে “নতুন ভোটার নিবন্ধন” অপশন সিলেক্ট করুন।

৩. প্রয়োজনীয় তথ্য দিন এবং নিচের কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন (অনলাইনের ক্ষেত্রে):  জন্ম সনদ  পিতা-মাতার NID  নাগরিকত্ব সনদ  শিক্ষাগত যোগ্যতা  চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র

৪. নির্ধারিত তারিখে আপনার ছবি, আঙুলের ছাপ (fingerprint) ও চোখের স্ক্যান (iris scan) দিতে নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হোন।

৫. বায়োমেট্রিক ও তথ্য যাচাই শেষে নির্বাচন কমিশন আপনার আবেদন গ্রহণ করবে।

৬.  কিছুদিন পর, অনলাইন পোর্টালে গিয়ে ভোটার আইডির অনলাইন কপি (PDF) ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপরে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে প্রিন্টেড কার্ড পাওয়া যাবে।

বিশেষ টিপস:

  • সকল তথ্য সঠিক ও মিল আছে কিনা একাধিকবার যাচাই করে নিন।
  • ফেক তথ্য বা ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
  • Chairman এর প্রত্যয়নপত্র ছাড়া অনেকে আবেদন করতে পারেন না, তাই আগে থেকেই সংগ্রহ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!