মহান বিজয় দিবস ২০২৪ এর পরিবর্তে হবে “বিজয় মেলা”। থাকছে না সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ
এ বছর মহান বিজয় দিবস ২০২৪ এর পরিবর্তে পালন করা হবে “বিজয় মেলা”। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ফ্রেমে এবার এই মহান দিবস উদযাপনে আনা হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লের পরিবর্তে আয়োজন করা হচ্ছে ‘বিজয় মেলা’, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরবে।
বিজয় মেলায় কি কি থাকছে?
এবারের ‘বিজয় মেলা’য় থাকছে:
- চারু ও কারুশিল্পের প্রদর্শনী।
- স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের স্টল।
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা।
স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এই আয়োজন করবে, যেখানে দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হবে।
মহান বিজয় দিবস ২০২৪ এ সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না এ বছর?
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ এ বছরও হচ্ছে না।
- গত বছর বাতিলের কারণ: জাতীয় নির্বাচন।
- এ বছর বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় হচ্ছে না মহান বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন,
“এবার বিজয় দিবসের প্রতিটি আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া।”
বিজয় মেলার খরচ কত?
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বছর মহান বিজয় দিবস এর পরিবর্তে বিজয় মেলা উদযাপন করতে গত বছরের চেয়ে বাজেট তিনগুণ বৃদ্ধি করেছে।
- ২০২৩ সালে বরাদ্দ: ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
- ২০২৪ সালে বরাদ্দ: ৯ কোটি ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এর মধ্যে:
- প্রতিটি জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার জন্য ১ লাখ টাকা।
- ‘বিজয় মেলা’ আয়োজনের জন্য ১.৫ লাখ টাকা বরাদ্দ।
- জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের কর্মসূচি স্থগিত থাকলেও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী আয়োজন ঠিক থাকবে।
বিজয় মেলার লক্ষ্য ও গুরুত্ব
বিজয় মেলার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে:
- গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য।
- মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা।
- নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার বার্তা।
মেলায় থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল, এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর আলোচনা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম জানিয়েছেন,
“বিজয় দিবস উদযাপনে এবার সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যা তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।”
পাঠকের মতামত
‘বিজয় মেলা’ পালনে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ এবং অন্যান্য পরিবর্তিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপনার মতামত জানান কমেন্টবক্সে।
আরও জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। জমি নিয়ে বিরোধে সেনাসদস্য খুন, কিভাবে চাচাতো ভাইদের দায়ের কোপে মৃত্যুর ঘটনা