বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। আন্তজার্তিক মিডিয়া বিবিসি এর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শহজাদ বাংলাদেশি নাগরিক, যিনি অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার বিবরণ
গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ের একটি অভিজাত এলাকায় সাইফ আলি খানের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এক ব্যক্তি গভীর রাতে খানের বাসায় প্রবেশ করে এবং ছুরি দিয়ে তাঁকে আঘাত করে। সাইফ আলি খান ছয়বার ছুরিকাহত হন, যার মধ্যে একটি আঘাত ছিল তাঁর ঘাড়ের পেছনে।
ঘটনার সময় খানের বাড়ির নার্স এলিয়ামা ফিলিপ পুলিশকে জানান, তিনি প্রথমে একটি ছায়া দেখতে পান বাথরুমের দরজার কাছে। কিছুক্ষণ পর একজন ব্যক্তি হাতে কাঠের একটি বস্তু এবং একটি লম্বা ছুরি নিয়ে হাজির হন। তিনি নার্স এবং এক ন্যানিকে হুমকি দিয়ে বলেন, কোনো শব্দ করলে তাদের আঘাত করবেন। এরপর তিনি ১০ মিলিয়ন রুপি দাবি করেন।
চিৎকার শুনে সাইফ আলি খান এবং তাঁর স্ত্রী সেখানে ছুটে আসেন। তখন হামলাকারী খানের গলায় ছুরিকাঘাত করে এবং পালিয়ে যায়।
সাইফ আলি খানের উপর হামলাকারী কি বাংলাদেশি?
রবিবার পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন শহজাদকে মুম্বাইয়ের থানে জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি ছয় মাস আগে মুম্বাইতে আসেন এবং একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে ভুয়া নাম ও পরিচয়পত্র দিয়ে কাজ শুরু করেন।
মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেদাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, শহজাদ ডাকাতির উদ্দেশ্যে খানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন। তবে, তাঁর আইনজীবী সন্দীপ শিখানে দাবি করেন,
“আমার মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং তাঁকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। শহজাদ বাংলাদেশি নাগরিক—এমন কোনো প্রমাণ নেই।”
রবিবার মুম্বাইয়ের একটি আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায়।
সাইফ আলি খানের উপর এই হামলা ভারতজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি বলিউড এবং পাশাপাশি মুম্বাইয়ের মতো ব্যস্ত শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
হামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হলেও এই ঘটনা নতুন নয়। এর পূর্বেও কাছাকাছি ধাচের ঘটনা অন্যান্য সেলিব্রিটিদের সাথে ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পরামর্শ দেয় পুলিশ কর্তপক্ষ।
আরও পড়ুন:
ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত ২১ ছাত্রের বিরুদ্ধে চার্জশীট